প্রকল্প সমূহ

আমরা সফলভাবে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সফটওয়্যার তৈরি করেছি।

অটোবিজ ইআরপি'র স্বয়ংক্রিয়তার শক্তিতে বদলে দিন আপনার অফডক কন্টেইনার টার্মিনাল অপারেশন। কন্টেইনার ট্র্যাকিং থেকে শুরু করে ইয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট, বিলিং থেকে রিপোর্ট তৈরি – সবকিছু হবে আরও নির্ভুল, আরও দ্রুত।
- অটোবিজ ইআরপি আপনার ব্যাবসার সাফল্যের ডিজিটাল কারিগর

অটোবিজ ইআরপি সলিউশন আপনার টার্মিনালের প্রতিটি কার্যক্রমকে নিয়ে যাবে অভূতপূর্ব সাফল্যের নতুন দিগন্তে।

প্রাইভেট অফ-ডক কন্টেইনার টার্মিনাল (ICD/CFS) অটোমেশন বলতে বোঝায়, টার্মিনালের সকল অপারেশনাল এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা। এটি শুধু একটি সফটওয়্যার ইনস্টলেশন নয়, বরং আধুনিক হার্ডওয়্যার, সেন্সর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), রোবোটিক্স এবং ডেটা অ্যানালিটিকসের সমন্বয়। চট্টগ্রাম বন্দরের মতো ব্যস্ত অঞ্চলে, যেখানে পণ্যের প্রবাহ অত্যাধিক, সেখানে অফ-ডক টার্মিনালগুলির জন্য অটোমেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

অটোবিজ ইআরপি তে প্রাইভেট অফ-ডক কন্টেইনার টার্মিনাল অটোমেশনের সুবিধা:

  • অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধি: কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সময় কমে আসে, ট্রাকের টার্নএরাউন্ড টাইম (TAT) হ্রাস পায়। কন্টেইনার হ্যান্ডলিং থেকে ডিসপ্যাচ পর্যন্ত প্রতিটি প্রক্রিয়া হবে সুসংহত ও স্বয়ংক্রিয়, যা অপারেশনাল ত্রুটি কমিয়ে আনবে।

  • রিয়েল-টাইম ডেটা অ্যানালাইসিস: সঠিক এবং তাৎক্ষণিক তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন, যা টার্মিনালের উৎপাদনশীলতা বাড়াবে।

  • মানবসম্পদ সাশ্রয়: ম্যানুয়াল কাজের পরিমাণ কমার কারণে কর্মীর সংখ্যা কম প্রয়োজন হয় এবং তারা আরও জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দিতে পারে।

  • খরচ হ্রাস: কর্মীর বেতন, ভুল-ত্রুটির কারণে সৃষ্ট ক্ষতি এবং অতিরিক্ত চার্জ কমে আসে।

  • নির্ভুলতা বৃদ্ধি: ডেটা এন্ট্রি এবং প্রক্রিয়াকরণে মানুষের ভুলের সম্ভাবনা প্রায় থাকে না।

  • উন্নত নিরাপত্তা: স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম নিরাপত্তা লঙ্ঘন এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

  • রিয়েল-টাইম ডেটা: টার্মিনালের কার্যক্রম সম্পর্কে সঠিক ও তাৎক্ষণিক তথ্য পাওয়া যায়, যা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে।

  • গ্রাহক সন্তুষ্টি: দ্রুত পরিষেবা, সঠিক তথ্য এবং উন্নত ট্র্যাকিং সুবিধা গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা উন্নত করে।

  • স্থান অপ্টিমাইজেশন: কার্যকর স্ট্যাকিং এবং পরিকল্পনা টার্মিনালের স্থানের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে।

  • কমপ্লায়েন্স: কাস্টমস এবং অন্যান্য রেগুলেটরি নির্দেশিকা মেনে চলা সহজ হয়।

প্রাইভেট অফ-ডক কন্টেইনার টার্মিনাল (ICD/CFS) অটোমেশন বলতে বোঝায়, টার্মিনালের সকল অপারেশনাল এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়াকে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা। এটি শুধু একটি সফটওয়্যার ইনস্টলেশন নয়, বরং আধুনিক হার্ডওয়্যার, সেন্সর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), রোবোটিক্স এবং ডেটা অ্যানালিটিকসের সমন্বয়। চট্টগ্রাম বন্দরের মতো ব্যস্ত অঞ্চলে, যেখানে পণ্যের প্রবাহ অত্যাধিক, সেখানে অফ-ডক টার্মিনালগুলির জন্য অটোমেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

অফ-ডক কন্টেইনার টার্মিনাল অটোমেশনের মূল ক্ষেত্রগুলো:

১. গেট অটোমেশন (Gate Automation): অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন (OCR): ট্রাকের নম্বর প্লেট, কন্টেইনার নম্বর এবং সীল নম্বর স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্যান করে ডেটা সংগ্রহ। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID): ট্রাক ও কন্টেইনার ট্র্যাকিংয়ের জন্য RFID ট্যাগ ব্যবহার। স্বয়ংক্রিয় গেট কিওস্ক: ড্রাইভাররা কিয়স্কের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুট দিতে পারবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রবেশ/প্রস্থান অনুমোদন পাবে। বায়োমেট্রিক/কার্ড অ্যাক্সেস কন্ট্রোল: টার্মিনালে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ।

২. ইয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (YMS) / টার্মিনাল অপারেটিং সিস্টেম (TOS): রিয়েল-টাইম কন্টেইনার ট্র্যাকিং: প্রতিটি কন্টেইনারের সঠিক অবস্থান, স্থিতি এবং চলাচল ট্র্যাক করা। স্বয়ংক্রিয় স্ট্যাকিং ও পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা: কন্টেইনারের সর্বোত্তম স্ট্যাকিং প্যাটার্ন এবং দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য সিস্টেম-চালিত পরিকল্পনা। ইকুইপমেন্ট ডিসপ্যাচিং (Equipment Dispatching): রীচ স্ট্যাকার, ফর্কলিফট, স্ট্র্যাডল ক্যারিয়ারের মতো হ্যান্ডলিং সরঞ্জামগুলির জন্য স্বয়ংক্রিয় কাজ বরাদ্দ এবং অপটিমাইজেশন। ব্লক ম্যানেজমেন্ট (Block Management): ইয়ার্ডের প্রতিটি ব্লকের ধারণক্ষমতা এবং ব্যবহারের দক্ষ ব্যবস্থাপনা।

৩. কাস্টমস ও ডকুমেন্টেশন অটোমেশন: ইলেকট্রনিক ডেটা ইন্টারচেঞ্জ (EDI): কাস্টমস, পোর্ট এবং শিপিং লাইনগুলির সাথে স্বয়ংক্রিয় ডেটা আদান-প্রদান (যেমন বাংলাদেশে ASYCUDA World, BDCAMS-এর সাথে ইন্টিগ্রেশন)। পেপারলেস ডকুমেন্টেশন: বিল অফ এন্ট্রি, এক্সপোর্ট ম্যানিফেস্ট, ডেলিভারি অর্ডার ইত্যাদির ডিজিটাল কপি তৈরি ও সংরক্ষণ। * স্বয়ংক্রিয় ফি ও চার্জ ক্যালকুলেশন: টার্মিনাল হ্যান্ডলিং চার্জ, স্টোরেজ চার্জ, কাস্টমস ডিউটি ইত্যাদির স্বয়ংক্রিয় হিসাব।

৪. ওয়্যারহাউস ও CFS অপারেশন অটোমেশন (Container Freight Station): ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (IMS): ওয়্যারহাউসের মধ্যে পণ্যের ইনভেন্টরি, অবস্থান এবং চলাচলের সঠিক রেকর্ড রাখা। স্টাফিং ও আন-স্টাফিং অপটিমাইজেশন: কন্টেইনারে পণ্য লোড/আনলোড করার জন্য স্বয়ংক্রিয় পরিকল্পনা ও নির্দেশনা। পিকিং ও পুটিং নির্দেশনা: কর্মীদের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পিকিং এবং পুটিং নির্দেশনা তৈরি। ভিডিও অ্যানালিটিকস: সিসিটিভি ফুটেজ ব্যবহার করে ওয়্যারহাউস কার্যক্রমের নিরীক্ষণ এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি।

৫. ফ্রেইট স্টেশন গেট অটোমেশন (Cargo Gate Automation): পার্শিয়াল কার্গো ট্র্যাকিং: ফ্রেইট স্টেশনের মধ্যে প্রবেশ এবং বের হওয়া ছোট ছোট কার্গোর জন্য স্বতন্ত্র ট্র্যাকিং। ডেলিভারি অর্ডার ভেরিফিকেশন: ডেলিভারি অর্ডার স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই করা।

৬. সুরক্ষা ও নিরাপত্তা অটোমেশন: CCTV ও AI-ভিত্তিক মনিটরিং: সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অস্বাভাবিক কার্যকলাপ বা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে স্বয়ংক্রিয় সতর্কতা। ফেন্সিং ও পেরিমিটার সিকিউরিটি: স্বয়ংক্রিয় সেন্সর-ভিত্তিক অনুপ্রবেশ সনাক্তকরণ সিস্টেম। * ফায়ার ডিটেকশন ও সাপ্রেশন সিস্টেম: স্বয়ংক্রিয় ফায়ার অ্যালার্ম ও নির্বাপণ ব্যবস্থা।

৭. রিপোর্টিং ও অ্যানালিটিকস: রিয়েল-টাইম পারফরম্যান্স ড্যাশবোর্ড: টার্মিনালের কার্যক্রমের মূল পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর (KPIs) পর্যবেক্ষণ। ঐতিহাসিক ডেটা অ্যানালিটিকস: পূর্বের ডেটা বিশ্লেষণ করে প্রবণতা শনাক্তকরণ এবং ভবিষ্যতের পূর্বাভাস। * কাস্টমাইজড রিপোর্ট জেনারেশন: ব্যবস্থাপনা, কাস্টমস, বা ক্লায়েন্টদের জন্য প্রয়োজনীয় রিপোর্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি করা।

বাংলাদেশে বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ:

  • প্রাথমিক বিনিয়োগ: অটোমেশন সিস্টেমে উচ্চ প্রাথমিক বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়।

  • দক্ষ জনবলের অভাব: স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রশিক্ষিত কর্মীর অভাব।

  • বিদ্যমান অবকাঠামো: অনেক অফ-ডক টার্মিনালের বিদ্যমান অবকাঠামো স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে।

  • ইন্টিগ্রেশন সমস্যা: কাস্টমস, পোর্ট এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের বিভিন্ন সিস্টেমের সাথে নির্বিঘ্ন ইন্টিগ্রেশন নিশ্চিত করা কঠিন হতে পারে।

  • পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা: কর্মীদের অটোমেটেড প্রক্রিয়ার সাথে মানিয়ে নেওয়া এবং পুরনো অভ্যাস ছেড়ে দেওয়া।

চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, চট্টগ্রামের মতো ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্য অফ-ডক টার্মিনাল অটোমেশন অত্যাবশ্যক। এটি শুধুমাত্র স্থানীয় সাপ্লাই চেইনকে শক্তিশালী করবে না, বরং আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলাদেশের লজিস্টিকস খাতের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে।

তাছাড়া ক্লাউডের উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়ায়, এই অটোবিজ ইআরপি সমাধানটি আপনাকে যেকোনো স্থান থেকে, যেকোনো সময় আপনার ব্যবসার তথ্য অ্যাক্সেস করার সুবিধা দেয়। এটি আপনার ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে আরও দক্ষ, স্বচ্ছ এবং লাভজনক করে তোলে, যা প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আপনাকে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।

অটোবিজ ইআরপি অফ-ডক কন্টেইনার টার্মিনাল অটোমেশনের মূল ক্ষেত্রগুলো:

১. গেট অটোমেশন (Gate Automation): অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন (OCR): ট্রাকের নম্বর প্লেট, কন্টেইনার নম্বর এবং সীল নম্বর স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্যান করে ডেটা সংগ্রহ। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID): ট্রাক ও কন্টেইনার ট্র্যাকিংয়ের জন্য RFID ট্যাগ ব্যবহার। স্বয়ংক্রিয় গেট কিওস্ক: ড্রাইভাররা কিয়স্কের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য ইনপুট দিতে পারবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রবেশ/প্রস্থান অনুমোদন পাবে। বায়োমেট্রিক/কার্ড অ্যাক্সেস কন্ট্রোল: টার্মিনালে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ।

২. ইয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (YMS) / টার্মিনাল অপারেটিং সিস্টেম (TOS): রিয়েল-টাইম কন্টেইনার ট্র্যাকিং: প্রতিটি কন্টেইনারের সঠিক অবস্থান, স্থিতি এবং চলাচল ট্র্যাক করা। স্বয়ংক্রিয় স্ট্যাকিং ও পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা: কন্টেইনারের সর্বোত্তম স্ট্যাকিং প্যাটার্ন এবং দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য সিস্টেম-চালিত পরিকল্পনা। ইকুইপমেন্ট ডিসপ্যাচিং (Equipment Dispatching): রীচ স্ট্যাকার, ফর্কলিফট, স্ট্র্যাডল ক্যারিয়ারের মতো হ্যান্ডলিং সরঞ্জামগুলির জন্য স্বয়ংক্রিয় কাজ বরাদ্দ এবং অপটিমাইজেশন। ব্লক ম্যানেজমেন্ট (Block Management): ইয়ার্ডের প্রতিটি ব্লকের ধারণক্ষমতা এবং ব্যবহারের দক্ষ ব্যবস্থাপনা।

৩. কাস্টমস ও ডকুমেন্টেশন অটোমেশন: ইলেকট্রনিক ডেটা ইন্টারচেঞ্জ (EDI): কাস্টমস, পোর্ট এবং শিপিং লাইনগুলির সাথে স্বয়ংক্রিয় ডেটা আদান-প্রদান (যেমন বাংলাদেশে ASYCUDA World, BDCAMS-এর সাথে ইন্টিগ্রেশন)। পেপারলেস ডকুমেন্টেশন: বিল অফ এন্ট্রি, এক্সপোর্ট ম্যানিফেস্ট, ডেলিভারি অর্ডার ইত্যাদির ডিজিটাল কপি তৈরি ও সংরক্ষণ। * স্বয়ংক্রিয় ফি ও চার্জ ক্যালকুলেশন: টার্মিনাল হ্যান্ডলিং চার্জ, স্টোরেজ চার্জ, কাস্টমস ডিউটি ইত্যাদির স্বয়ংক্রিয় হিসাব।

৪. ওয়্যারহাউস ও CFS অপারেশন অটোমেশন (Container Freight Station): ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (IMS): ওয়্যারহাউসের মধ্যে পণ্যের ইনভেন্টরি, অবস্থান এবং চলাচলের সঠিক রেকর্ড রাখা। স্টাফিং ও আন-স্টাফিং অপটিমাইজেশন: কন্টেইনারে পণ্য লোড/আনলোড করার জন্য স্বয়ংক্রিয় পরিকল্পনা ও নির্দেশনা। পিকিং ও পুটিং নির্দেশনা: কর্মীদের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পিকিং এবং পুটিং নির্দেশনা তৈরি। ভিডিও অ্যানালিটিকস: সিসিটিভি ফুটেজ ব্যবহার করে ওয়্যারহাউস কার্যক্রমের নিরীক্ষণ এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি।

৫. ফ্রেইট স্টেশন গেট অটোমেশন (Cargo Gate Automation): পার্শিয়াল কার্গো ট্র্যাকিং: ফ্রেইট স্টেশনের মধ্যে প্রবেশ এবং বের হওয়া ছোট ছোট কার্গোর জন্য স্বতন্ত্র ট্র্যাকিং। ডেলিভারি অর্ডার ভেরিফিকেশন: ডেলিভারি অর্ডার স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাচাই করা।

৬. সুরক্ষা ও নিরাপত্তা অটোমেশন: CCTV ও AI-ভিত্তিক মনিটরিং: সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অস্বাভাবিক কার্যকলাপ বা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে স্বয়ংক্রিয় সতর্কতা। ফেন্সিং ও পেরিমিটার সিকিউরিটি: স্বয়ংক্রিয় সেন্সর-ভিত্তিক অনুপ্রবেশ সনাক্তকরণ সিস্টেম। * ফায়ার ডিটেকশন ও সাপ্রেশন সিস্টেম: স্বয়ংক্রিয় ফায়ার অ্যালার্ম ও নির্বাপণ ব্যবস্থা।

৭. ফিনান্স ও অ্যাকাউন্টিং (Finance & Accounting):

  • জেনারেল লেজার (General Ledger): সকল আর্থিক লেনদেনের মূল রেকর্ড রাখে।

  • অ্যাকাউন্টস পেয়েবল (Accounts Payable): সরবরাহকারীদের বিল পরিশোধের ব্যবস্থাপনা (ভেন্ডর বিল, পেমেন্ট শিডিউল)।

  • অ্যাকাউন্টস রিসিভেবল (Accounts Receivable): গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের ব্যবস্থাপনা (ইনভয়েস, পেমেন্ট ট্র্যাকিং)।

  • ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট (Cash Management): নগদ প্রবাহ এবং ব্যাংক ব্যালেন্স পর্যবেক্ষণ।

  • ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং (Financial Reporting): লাভ-ক্ষতির হিসাব, ব্যালেন্স শীট, ক্যাশ ফ্লো স্টেটমেন্ট তৈরি।

  • বাজেটিং ও কস্টিং (Budgeting & Costing): বাজেট তৈরি, খরচ বিশ্লেষণ এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রণ।

৮. অপারেশনস ম্যানেজমেন্ট (Operations Management):

  • শিপিং ও লজিস্টিকস অপারেশনস (Shipping & Logistics Operations):

    • বুকিং ও কার্গো ম্যানেজমেন্ট (Booking & Cargo Management): বুকিং গ্রহণ, শিপমেন্ট বিবরণ, কার্গো লোড/আনলোড পরিকল্পনা।

    • ভেসেল ও কন্টেইনার ম্যানেজমেন্ট (Vessel & Container Management): জাহাজের রুট, সিডিউল, কন্টেইনার ট্র্যাকিং ও ব্যবস্থাপনা।

    • ডকুমেন্টেশন ম্যানেজমেন্ট (Documentation Management): বিল অফ ল্যাডিং (B/L), ম্যানিফেস্ট, কাস্টমস ডকুমেন্টেশন তৈরি ও সংরক্ষণ।

    • পোর্ট কল ও টার্মিনাল হ্যান্ডলিং (Port Call & Terminal Handling): পোর্টে জাহাজের আগমন-প্রস্থান, টার্মিনালে লোডিং-আনলোডিং কার্যক্রমের সমন্বয়।

    • রুট অপটিমাইজেশন (Route Optimization): সবচেয়ে কার্যকর এবং খরচ-সাশ্রয়ী রুট পরিকল্পনা।

    • রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং (Real-time Tracking): জাহাজ, কন্টেইনার বা কার্গোর বর্তমান অবস্থান পর্যবেক্ষণ।

  • ফ্রেইট ফরোয়ার্ডিং (Freight Forwarding) (শিপিং এজেন্টের জন্য অতিরিক্ত):

    • এয়ার, সী, ল্যান্ড ফ্রেইট ম্যানেজমেন্ট (Air, Sea, Land Freight Management): বিভিন্ন পরিবহন মাধ্যমের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা।

    • কনসোলিডেশন ও ডিকনসোলিডেশন (Consolidation & Deconsolidation): একাধিক ছোট শিপমেন্টকে একীভূত করা বা একটি বড় শিপমেন্টকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করা।

৯. ইনভেন্টরি ও ওয়্যারহাউস ম্যানেজমেন্ট (Inventory & Warehouse Management):

  • কন্টেইনার ইনভেন্টরি (Container Inventory): কন্টেইনারের সংখ্যা, প্রকার এবং অবস্থান ট্র্যাকিং।

  • ওয়্যারহাউস স্পেস ম্যানেজমেন্ট (Warehouse Space Management): ওয়্যারহাউসের স্থান ব্যবহার এবং ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা।

  • ইনবাউন্ড ও আউটবাউন্ড ম্যানেজমেন্ট (Inbound & Outbound Management): পণ্য গ্রহণ, সংরক্ষণ এবং প্রেরণের প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ।

১০. কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট (CRM):

  • কাস্টমার ডেটাবেস (Customer Database): গ্রাহকদের তথ্য, যোগাযোগের বিবরণ এবং ইতিহাস সংরক্ষণ।

  • সেলস ও বুকিং ম্যানেজমেন্ট (Sales & Booking Management): নতুন গ্রাহক অর্জন, বুকিং কোটেশন এবং ফলো-আপ।

  • কাস্টমার সার্ভিস (Customer Service): গ্রাহকদের জিজ্ঞাসা, অভিযোগ এবং সমাধান ব্যবস্থাপনা।

  • কাস্টমার পোর্টাল (Customer Portal): গ্রাহকদের জন্য তাদের শিপমেন্ট ট্র্যাক করা, বিল দেখা এবং ডকুমেন্ট অ্যাক্সেসের সুবিধা।

১১. প্রকিউরমেন্ট (Procurement):

  • সাপ্লায়ার ম্যানেজমেন্ট (Supplier Management): সরবরাহকারীদের তথ্য, চুক্তি এবং পারফরম্যান্স ট্র্যাকিং।

  • পারচেজ অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (Purchase Order Management): ক্রয় আদেশ তৈরি, প্রেরণ এবং ট্র্যাকিং।

  • কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট (Contract Management): সরবরাহকারীদের সাথে চুক্তির শর্তাদি ব্যবস্থাপনা।

১২. হিউম্যান রিসোর্স (HR) ম্যানেজমেন্ট:

  • কর্মচারী ডেটাবেস (Employee Database): কর্মচারীদের ব্যক্তিগত তথ্য, পদবি এবং যোগাযোগের বিবরণ।

  • পে-রোল ম্যানেজমেন্ট (Payroll Management): বেতন, বোনাস এবং ট্যাক্স হিসাব।

  • লিভ ও অ্যাটেনডেন্স ম্যানেজমেন্ট (Leave & Attendance Management): ছুটির আবেদন, অনুমোদন এবং উপস্থিতির রেকর্ড রাখা।

১৩. রিপোর্টিং ও অ্যানালিটিকস (Reporting & Analytics):

  • পারফরম্যান্স ড্যাশবোর্ড (Performance Dashboards): মূল কার্যকারিতা সূচক (KPIs) এবং ট্রেন্ড বিশ্লেষণ।

  • কাস্টমাইজড রিপোর্ট (Customized Reports): বিভিন্ন বিভাগের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী রিপোর্ট তৈরি।

  • ডেটা অ্যানালিটিকস (Data Analytics): ঐতিহাসিক ডেটা বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা।

১৪. সিকিউরিটি ও কমপ্লায়েন্স (Security & Compliance):

  • ডেটা সিকিউরিটি (Data Security): সংবেদনশীল ডেটা সুরক্ষা এবং অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ।

  • রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স (Regulatory Compliance): আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় শিপিং আইন ও নিয়মের সাথে সামঞ্জস্যতা নিশ্চিত করা।

১৫. ইন্টিগ্রেশন মডিউল (Integration Module):

  • থার্ড-পার্টি সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন (Third-party System Integration): কাস্টমস সিস্টেম, পোর্ট অথরিটি সিস্টেম, ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদির সাথে ডেটা আদান-প্রদান।

বাংলাদেশে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরের মতো জায়গায় প্রাইভেট অফ-ডক কন্টেইনার টার্মিনালের জন্য অটোমেশন এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং অপরিহার্য। কাস্টমস এবং বন্দর কর্তৃপক্ষও তাদের নিজস্ব অটোমেশন প্রক্রিয়া (যেমন ASYCUDA, BDCAMS, Digital CPA) শুরু করেছে, যা শিপিং এজেন্টদের জন্য তাদের কার্যক্রমকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে। এর ফলে সামগ্রিক সাপ্লাই চেইন আরও মসৃণ ও কার্যকর হবে।

Fully Customizable Industry Specific ERP software production of MAMTech Limited