প্রকল্প সমূহ

আমরা সফলভাবে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সফটওয়্যার তৈরি করেছি।

পশুখাদ্য শিল্পের জন্য অটোবিজ ক্লাউড ইআরপি সফটওয়্যার

পশুখাদ্য উৎপাদন শিল্পের জটিল চাহিদা মেটাতে বিশেষভাবে তৈরি আমাদের অটোবিজ ক্লাউড ইআরপি (Cloud ERP) সমাধান আপনার ব্যবসার প্রতিটি দিককে সুসংহত করে। এটি কেবল একটি সফটওয়্যার নয়, বরং আপনার পশুখাদ্য ব্যবসার উৎপাদন থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপকে স্বয়ংক্রিয় ও অপ্টিমাইজ করার জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার।

আমাদের অটোবিজ ইআরপি সিস্টেম আপনাকে কাঁচামাল সংগ্রহ, উৎপাদন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ, গুণমান নিয়ন্ত্রণ, ইনভেন্টরি ব্যবস্থাপনা, বিক্রয় ও বিতরণ, এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোতে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে। এর মাধ্যমে আপনি সহজেই উৎপাদন ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, পণ্যের মান নিশ্চিত করতে পারবেন এবং বাজারে চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত সাড়া দিতে পারবেন।

ক্লাউডের উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়ায়, এই অটোবিজ ইআরপি সমাধানটি আপনাকে যেকোনো স্থান থেকে, যেকোনো সময় আপনার ব্যবসার তথ্য অ্যাক্সেস করার সুবিধা দেয়। এটি আপনার উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরও দক্ষ, স্বচ্ছ এবং লাভজনক করে তোলে, যা পশুখাদ্য শিল্পের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আপনাকে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।

পশুখাদ্য শিল্পের জন্য বিশেষায়িত অটোবিজ ক্লাউড ইআরপি মডিউলসমূহ:

১. ফর্মুলেশন ও রেসিপি ম্যানেজমেন্ট (Formulation & Recipe Management): এটি পশুখাদ্য শিল্পের হৃৎপিণ্ড। এই মডিউলটি পুষ্টিবিদদের জন্য একটি শক্তিশালী টুল।

  • ফিড ফর্মুলা তৈরি: বিভিন্ন প্রাণী (যেমন: মুরগি, মাছ, গরু) এবং তাদের বিভিন্ন বয়স (যেমন: স্টার্টার, গ্রোয়ার, ফিনিশার) অনুযায়ী পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে ফিডের নির্ভুল ফর্মুলা বা রেসিপি তৈরি করা।

  • লিস্ট-কস্ট ফর্মুলেশন (Least-Cost Formulation): বাজারের বর্তমান কাঁচামালের মূল্যের উপর ভিত্তি করে, নির্দিষ্ট পুষ্টিমান বজায় রেখে সবচেয়ে কম খরচে কোন ফর্মুলাটি তৈরি করা সম্ভব, সিস্টেম তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্লেষণ করে বের করে দেয়। এটি উৎপাদন খরচ কমাতে সরাসরি সাহায্য করে।

  • রেসিপি সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ (Version Control): যেকোনো ফর্মুলার পরিবর্তন এবং এর পূর্ববর্তী সংস্করণগুলো সহজেই ট্র্যাক করা যায়।

২. প্রকিউরমেন্ট ও ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট (Procurement & Inventory Management): কাঁচামালের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে।

  • গুণগত মান-ভিত্তিক প্রকিউরমেন্ট: সরবরাহকারীর কাছ থেকে কাঁচামাল (যেমন: ভুট্টা, সয়াবিন, ভিটামিন) কেনার সময় তার গুণগত মান (যেমন: প্রোটিনের মাত্রা, আর্দ্রতা) সিস্টেমে রেকর্ড করা।

  • রিয়েল-টাইম ইনভেন্টরি: ক্লাউড-ভিত্তিক হওয়ায় ফ্যাক্টরি, গুদাম বা হেড অফিস থেকে যেকোনো মুহূর্তে কাঁচামাল ও তৈরি পণ্যের মজুদের সঠিক অবস্থা জানা যায়।

  • FIFO/FEFO ম্যানেজমেন্ট: পচনশীল কাঁচামাল এবং পণ্যের জন্য "First-In, First-Out" বা "First-Expired, First-Out" পদ্ধতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করে অপচয় রোধ করে।

৩. প্রোডাকশন ও ব্যাচ ম্যানেজমেন্ট (Production & Batch Management): উৎপাদন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসে।

  • ব্যাচ প্রোডাকশন অর্ডার: অনুমোদিত ফর্মুলা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণের (ব্যাচ) খাদ্য উৎপাদনের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রোডাকশন অর্ডার তৈরি করা।

  • সম্পূর্ণ ট্রেসেবিলিটি (Complete Traceability): এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। কোনো নির্দিষ্ট ব্যাচের ফিডে সমস্যা দেখা দিলে, এক ক্লিকেই জানা যায় ঐ ব্যাচে কোন লটের কাঁচামাল ব্যবহৃত হয়েছিল এবং সেই ব্যাচের পণ্য কোন কোন ডিলারের কাছে পাঠানো হয়েছে। এটি খাদ্য নিরাপত্তা এবং আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণে অপরিহার্য।

৪. কোয়ালিটি কন্ট্রোল (Quality Control - QC): পণ্যের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করে ব্র্যান্ডের সুনাম রক্ষা করে।

  • ইনকামিং ও ফিনিশড গুডস QC: ফ্যাক্টরিতে আসা প্রতিটি কাঁচামাল এবং চূড়ান্ত উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান পরীক্ষা করে তার ফলাফল প্রতিটি ব্যাচের বিপরীতে সিস্টেমে রেকর্ড করা।

  • নন-কনফার্মিটি ম্যানেজমেন্ট: কোনো ব্যাচ যদি গুণগত মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হয়, তবে সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটিকে ‘হোল্ড’ করে রাখে, যাতে তা বাজারে চলে যেতে না পারে।

৫. কস্টিং ও প্রফিটেবিলিটি অ্যানালাইসিস (Costing & Profitability Analysis): আপনার ব্যবসার প্রকৃত আর্থিক চিত্র তুলে ধরে।

  • ব্যাচ-ভিত্তিক উৎপাদন ব্যয়: প্রতিটি ব্যাচ ফিড উৎপাদন করতে ব্যবহৃত কাঁচামালের রিয়েল-টাইম মূল্য, শ্রম এবং অন্যান্য ওভারহেড খরচ মিলিয়ে মোট উৎপাদন ব্যয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে গণনা করা।

  • লাভজনকতা বিশ্লেষণ: কোন ধরনের ফিড বা কোন ডিলারের কাছে বিক্রিতে লাভ বেশি হচ্ছে, তা বিশ্লেষণ করে সঠিক ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করা।

৬. সেলস ও ডিস্ট্রিবিউশন (Sales & Distribution):

  • অর্ডার ম্যানেজমেন্ট: ডিলার, খামারি বা কর্পোরেট গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্ডার গ্রহণ, ক্রেডিট লিমিট চেক করা এবং ডেলিভারির জন্য চালান তৈরি করা।

  • ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যানিং: ডেলিভারি রুট এবং গাড়ির সময়সূচী তৈরি করে বিপণন খরচ কমানো।

অটোবিজ ক্লাউড ইআরপি-এর বিশেষ সুবিধা:

  • যেকোনো স্থান থেকে অ্যাক্সেস: ইন্টারনেট থাকলেই ফ্যাক্টরির উৎপাদন, ইনভেন্টরি বা বিক্রয়ের তথ্য মোবাইল বা ল্যাপটপ থেকে দেখা যায়।

  • কম প্রাথমিক বিনিয়োগ: নিজস্ব সার্ভার কেনার প্রয়োজন না হওয়ায় প্রাথমিক খরচ অনেক কমে আসে।

  • সহজ স্কেলেবিলিটি: ব্যবসার পরিধি বাড়ার সাথে সাথে কোনো হার্ডওয়্যার পরিবর্তন ছাড়াই সিস্টেমের ক্ষমতা বাড়ানো যায়।

  • স্বয়ংক্রিয় আপডেট ও নিরাপত্তা: সফটওয়্যার আপডেট এবং ডেটার নিরাপত্তা ও ব্যাকআপের দায়িত্ব ক্লাউড সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানই নিয়ে থাকে।

পশুখাদ্য একটি বিজ্ঞান-নির্ভর শিল্প, যেখানে প্রতিটি উপাদানের সঠিক পরিমাণ এবং গুণগত মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অটোবিজ ক্লাউড ইআরপি এই শিল্পে সেই বৈজ্ঞানিক নির্ভুলতা এবং ব্যবসায়িক স্বচ্ছতা নিয়ে আসে। এটি এমন একটি কৌশলগত বিনিয়োগ, যা আপনাকে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পশুখাদ্য উৎপাদনে সাহায্য করে এবং সর্বোপরি, আপনার প্রতিষ্ঠানকে একটি আধুনিক, লাভজনক এবং বিশ্বমানের ব্যবসায় রূপান্তরিত করার মূল ভিত্তি স্থাপন করে।

Fully Customizable Industry Specific ERP software production of MAMTech Limited