প্রকল্প সমূহ
আমরা সফলভাবে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সফটওয়্যার তৈরি করেছি।


কল্পনা করুন এমন একটি রেস্টুরেন্টের কথা, যেখানে ওয়েটারকে ডাকার জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। টেবিলের উপর থাকা একটি QR কোড স্ক্যান করতেই পুরো মেন্যু আপনার ফোনে ভেসে উঠছে, সাথে খাবারের লোভনীয় ছবি। অর্ডার প্লেস করার সাথে সাথেই রান্নাঘরে থাকা ডিজিটাল স্ক্রিনে তা পৌঁছে যাচ্ছে এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই গরম গরম খাবার আপনার টেবিলে হাজির। বিল দেওয়ার জন্যও নেই কোনো তাড়াহুড়ো; আপনি নিজের মোবাইল দিয়েই পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারছেন।
এটি কোনো ভবিষ্যৎ কল্পনা নয়, এটাই হলো রেস্টুরেন্ট অটোমেশন—একটি আধুনিক ও স্মার্ট ইকোসিস্টেম, যা আপনার রেস্টুরেন্টের প্রতিটি বিভাগকে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় আরও গতিশীল, নির্ভুল এবং লাভজনক করে তোলে।
রেস্টুরেন্ট অটোমেশনের মূল স্তম্ভগুলো:
অটোবিজ ইআরপি রেস্টুরেন্ট এর পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন সিস্টেম মূলত তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত:
১. অতিথির অভিজ্ঞতা (Front-of-House): যখন সেবা হয়ে ওঠে শিল্প
এই অংশটি সরাসরি আমাদের গ্রাহকদের সাথে সম্পর্কিত, যা তাদের অভিজ্ঞতাকে সহজ ও আনন্দময় করে তোলে।
ডিজিটাল মেন্যু ও অর্ডারিং: গ্রাহকরা টেবিলের QR কোড স্ক্যান করে বা ট্যাবলেটের মাধ্যমে মেন্যু দেখতে এবং সরাসরি অর্ডার করতে পারেন। ফলে ওয়েটারের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না এবং অর্ডার নিতেও কোনো ভুল হয় না।
অনলাইন টেবিল রিজার্ভেশন: গ্রাহকরা রেস্টুরেন্টের ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে আগে থেকেই নিজেদের পছন্দমতো টেবিল বুক করতে পারেন। এতে রেস্টুরেন্টের টেবিল ব্যবস্থাপনা সহজ হয় এবং গ্রাহকরাও নিশ্চিন্ত থাকেন।
সেন্ট্রাল পয়েন্ট অফ সেল (POS) সিস্টেম: এটি হলো অটোমেশনের হৃৎপিণ্ড। প্রতিটি অর্ডার, বিল এবং পেমেন্ট এই একটি সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যা নির্ভুল হিসাব নিশ্চিত করে।
স্মার্ট পেমেন্ট: গ্রাহকরা ক্যাশ ছাড়াও কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, নগদ) বা অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই বিল পরিশোধ করতে পারেন, যা প্রক্রিয়াটিকে দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত করে।
২. রান্নাঘরের ব্যবস্থাপনা (Back-of-House): নির্ভুলতা ও গতির সমন্বয়
অটোবিজ ইআরপি রেস্টুরেন্ট অটোমেশন রান্নাঘরের বিশৃঙ্খলা দূর করে একটি সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ তৈরি করে।
কিচেন ডিসপ্লে সিস্টেম (KDS): গ্রাহকের অর্ডার প্লেস করার সাথে সাথেই রান্নাঘরের স্ক্রিনে অর্ডারটি ভেসে ওঠে। কোন টেবিলে কোন খাবার যাবে, কোনটি আগে তৈরি করতে হবে—এসব তথ্য শেফদের কাছে পরিষ্কার থাকে। এতে কাগজের অর্ডারের স্লিপ হারিয়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট: রেস্টুরেন্টে কী কী কাঁচামাল (চাল, ডাল, মাংস, সবজি) কী পরিমাণে মজুদ আছে, তার রিয়েল-টাইম হিসাব থাকে। কোনো কিছুর ঘাটতি হওয়ার আগেই সিস্টেম আপনাকে সতর্ক করে দেয়। এতে খাবারের অপচয় কমে এবং জরুরি মুহূর্তে কাঁচামালের সংকট এড়ানো যায়।
রেসিপি ম্যানেজমেন্ট: প্রতিটি খাবারের রেসিপি ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ করা থাকে। ফলে যেকোনো শেফই একই মানের ও স্বাদের খাবার তৈরি করতে পারেন, যা আপনার রেস্টুরেন্টের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখে।
৩. ব্যবস্থাপনা ও বিশ্লেষণ (Management & Analytics): যখন সিদ্ধান্ত হয় তথ্যনির্ভর
অটোবিজ ইআরপি রেস্টুরেন্ট অটোমেশন সিস্টেমে একজন মালিক বা ব্যবস্থাপককে ব্যবসার নাড়িনক্ষত্র বুঝতে সাহায্য করে।
রিয়েল-টাইম সেলস রিপোর্ট: দিনের যেকোনো সময়ে মোট কত টাকার বিক্রি হলো, কোন খাবারটি সবচেয়ে বেশি চলছে, বা কোন সময়ে গ্রাহকের চাপ বেশি থাকে—এই সব তথ্য এক ক্লিকেই পাওয়া যায়।
কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট (CRM): গ্রাহকদের তথ্য (যেমন: জন্মদিন, পছন্দের খাবার) সংরক্ষণ করে তাদের জন্য বিশেষ অফার বা লয়ালটি প্রোগ্রাম চালানো যায়, যা গ্রাহকদের বারবার আপনার রেস্টুরেন্টে ফিরে আসতে উৎসাহিত করে।
কর্মচারী ব্যবস্থাপনা: কোন কর্মী কখন ডিউটিতে আসছেন বা যাচ্ছেন, তাদের পারফরম্যান্স কেমন—এই সবকিছুর হিসাব রাখা সহজ হয়।
অটোবিজ ইআরপি রেস্টুরেন্ট অটোমেশন কেন একটি অপরিহার্য বিনিয়োগ?
আধুনিক যুগে রেস্টুরেন্ট অটোমেশন কোনো বিলাসিতা নয়, বরং এটি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার অন্যতম চাবিকাঠি। এর মাধ্যমে—
দক্ষতা বৃদ্ধি পায়: কম সময়ে বেশি গ্রাহককে সেবা দেওয়া যায়।
খরচ কমে: খাবারের অপচয় এবং অতিরিক্ত জনবলের খরচ কমে আসে।
গ্রাহক সন্তুষ্টি বাড়ে: দ্রুত ও নির্ভুল সেবা গ্রাহকদের একটি সেরা অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
লাভজনকতা বৃদ্ধি পায়: স্বচ্ছ হিসাব এবং উন্নত ব্যবস্থাপনার ফলে ব্যবসার লাভ বহুগুণে বেড়ে যায়।
এককথায়, অটোবিজ ইআরপি রেস্টুরেন্ট অটোমেশন হলো আপনার ব্যবসাকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করার প্রথম এবং সবচেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ।
অটোবিজ রেস্টুরেন্ট অটোমেশন: অতিথি সেবার নতুন দিগন্ত ও স্মার্ট ব্যবস্থাপনার শিল্প
Fully Customizable Industry Specific ERP software production of MAMTech Limited

